ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকার জন্য ঘরে তালা

জুলাই ৮, ২০২৪ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি, চাঁদপুর , পপুলার বিডিনিউজ

এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় কাঁচামাল বিক্রেতার ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ৭ জুলাই রবিবার পযর্ন্ত ঘরে ঢুকতে না পেরে ৪ সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটাটি ১২নং চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া (গ্রামের সওদাগর বাড়ির) এলাকায় ঘটে।
ঘটনার আলোকে জানা যায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সোপিরেট এনজিও হাইমচর শাখা কর্তৃপক্ষ ঐ দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।
ঘটনা নিশ্চিত করেন, কাঁচামাল বিক্রেতা ভোরহান সওদাগর এবং তার স্ত্রী গৃহিনী মাকছুদা বেগম। তারা চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়িতে  দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।
ভোরহান উদ্দিন বলেন,২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি, তারা আর মাত্র ৪৮ হাজার টাকা পাবে, বইতে আমার জমাও আছে কিছু টাকা। বৃষ্টির কারণে কাঁচামালে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লস ঘুনতে হচ্ছে, তাই ২ টি কিস্তি দিতে দেরি হওয়ার কারণে সোপিরেট এনজিও এর কর্মকর্তা এসে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়, আজ ৩ দিন যাবৎ ঘরে প্রবেশ করতে পারি না, ৪ টি সন্তান নিয়ে অনাহারে জীবন পার করতে হচ্ছে।
সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার আতিকুর রহমান জানান, মাকসুদা আক্তার ঋনের টাকা দিতে না পারায় অফিসের নির্দেশে তালা আটকিয়ে দিয়েছি।
সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। গ্রাহকরা বলছে তালা লাগিয়ে দিতে।
উপজেলার ১২নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান মাষ্টার জানান, এই সংস্থাটি ঋনের টাকা না পেলে আমাকে জানানো উচিত ছিলো, প্রয়োজনে আমি ঋনের টাকা পরিশোধ করে দিতাম, কিন্তু তারা বসতঘরে তালা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করতে পারেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল   জানান, বিষয়টি আমি এখন শুনেছি , খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।