যেই প্রতিবেদনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেলেন মনিরুজ্জামান বাবলু

জানুয়ারি ৯, ২০২৫ | ১১:০৬ অপরাহ্ণ
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর , পপুলার বিডিনিউজ

গেল বছরের ২৭ মে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার শেষ পাতায় ‘দেশে ফিরতে চান ওরা ১৩ জন, কনটেইনারে লুকিয়ে কষ্টে বেঁচে আছেন কিরগিজস্তানে’ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উৎকর্ষে সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৪ জাতীয় পত্রিকার ক্যাটাগরিতে মনোনীত হন। বুধবার রাতে ৮ জানুয়ারি বুধবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ জন বিজয়ী সাংবাদিককে নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। মনিরুজ্জামান বাবলু সাংবাদিকতাকে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার চাঁদপুর জেলার প্রতিনিধিত্ব করছেন। পাশাপাশি স্থানীয় দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টল পপুলার বিডিনিউজের এডিটর হিসেবে কাজ করছেন। অনুভূতি প্রকাশে তিনি প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন করায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের প্রতি কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেন। এই পুরস্কার আগামীতে প্রতিবেদন তৈরীতে আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে জানান। মনোনীত প্রতিবেদনটি ২৬ মে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। ১৯৮৫ সালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার লাওকোরা বড় ফকির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আনোয়ার হোসেন ও মাতা শামছুন নাহার। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে পড়াশোনা অবস্থায় সংবাদকর্মী হিসেবে যুক্ত হন। দৈনিক চাঁদপুর জমিন পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে পর্যায়ক্রমে দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত, সাপ্তাহিক মানবসমাজ, জাতীয় দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে তিনি সাপ্তাহিক মানবসমাজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, ২০১১ সালে দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, পর্যায়ক্রমে দৈনিক মেঘনা বার্তা, দৈনিক চাঁদপুর জমিন ও দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক/ যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া অনলাইন মিডিয়া দ্য রিপোর্ট ২৪.কম ও বার্তা ২৪.কম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তিনি হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ছোটগল্প, কবিতা ও ফিচার লেখেন। একুশে বই মেলায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সুপ্রভাত’ ও গল্পগ্রন্ধ ‘কালু মিয়ার পিএইচডি' প্রকাশিত হয়। আরো দুটি বইয়ের কাজ চলছে। বিভিন্ন পেশার কাজের বাহিরে তিনি হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাহিত্য মঞ্চের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া টিআইবির স্বজন শাখার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার রচনা ও পরিচালনায় একাধিক মঞ্চ নাটক প্রদর্শিত হয়েছে। স্ত্রী ইশরাত জাহান ইভা, এক পুত্র ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে বসবাস করছেন।